সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে পুরো বিশ্ব। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলা মানুষগুলো এখন গৃহবন্দি। এই অবস্থায় নিরাপদে থাকতে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তাই সিরাজগঞ্জে তাড়াশে ছোটবড়, কিশোর, আবাল ও বৃদ্ধা মিলে ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠেছে।
সরজমিনে দেখা যায়, বাঙালির ঐতিহ্য রঙিন ঘুড়িতে মেতেছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তরুণ প্রজন্ম সহ নানান পেশাজীবি মানুষ। শিশু-কিশোর থেকে শুর করে বিভিন্ন বয়সের অনেকেই একসাথে ফাঁকা মাঠগুলোতে ঘুড়ি ওড়াতে ব্যস্ত । অনেকেই আবার ঘুড়ির সুতোয় কাটাকাটি খেলে কিংবা আকাশে ঘুড়ি পাঠিয়ে এ যেন করোনাকালীন ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করার এক সুস্থ বিনোদন। আর এই ঘুড়ি উরানোকে পূজি করে ঘুড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন ঘুড়ি তৈরির কারিগররা।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, গ্রাম অঞ্চলে কিছু যুবক বাশ-বেত এবং রঙ্গিন কাগজ দিয়ে ঘুড়ি তৈরি করে খুব ভাল দামে বিক্রি করছে। তারপর সেই ঘুড়িতেই ব্যস্ত হয়ে পরেছে বিভিন্ন মাঠ, জমির আইল, বাসাবাড়ি ছাদ এবং রাস্তায়।
তাড়াশ পৌর শহরের গোবিন্দ বাড়ী মহল্লার ঘুড়ি বিক্রেতা গোপাল জানান, বাড়ীতে দীর্ঘদিন অবস্থান করার ফলে আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে দিন যাচ্ছিল। এ বছর মানুষের মধ্যে ঘুড়ির ব্যপক জনপ্রিয়তা দেখে ঘুুরি বানানো এবং বিক্রির কাজে মন দিলাম। তারপর ঘুড়ি বিক্রির ব্যপক সারা পাওয়ায় এটা এখন আমার জন্য লাভ জনক ব্যবসা হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ধরনের লোক আমার কাছে ঘুড়ি কিনতে আসে। সাধারণ ঘুড়ি, চিলা ঘুড়ি, ঢাউস, চোং, বিমান, কয়রা, ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার ঘুড়ি এক একটা মানভেদে ছোট-বড় আকারের ২শত টাকা থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ভাল ভাবে কাজ করলে দিনে ২/৩ টা পর্যন্ত ঘুড়ি বানানো সম্ভব হয়।
স্কুল ছাত্র নীড় আহসান নাবিল বলেন, এখন স্কুল বন্ধ রয়েছে, তাই অনেকের দেখাদেখি একটি ঘুরি ক্রয় করেছি। বাড়ির পাশে মাঠে সকলের সাথে ঘুড়ি উড়াতে খুব মজা লাগে।